Wednesday, March 13, 2019

৩২) লাভ ইউ রোহিতা


লাভ ইউ রোহিতা

#অর্ক_ভট্টাচার্য
#দেয়ালা
#আনাড়ি_মাইন্ডস
---------------------------------------------------------------
মাছের রাজা ইলিশ হতে পারে।  কিন্ত মাছেদের বাজারে উদিত নারায়ণ কিন্তু সেই লেবিও রোহিতা।  মানে ঝালে ঝোলে অম্বলে যাকে লাগে,  সেই প্রিয় রুই মাছ কিন্তু অজান্তেই খাদ্য জগতে নিজের জায়গা বানিয়ে নিয়েছে নানান নামে।

সব মাছই কাটা হয়।  কিন্তু কাটা মাছ কিন্তু রুই।  মাথামোটা কাতলা যদিও মাঝে মাঝে বাজার ছিনিয়ে নিতে চায়, কিন্তু আপামর জনতা রোহিতার রুপালি বর্ণের ছটায়  শেষমেশ কালো মাছটাকে নামিয়েই রাখে। বলে না, অতি বড় সুন্দরীর না জোটে বর , অতি বড় ঘরণীর না জোটে ঘর।  পিসিকালচারে পড়া শয়ে শয়ে মাছের মধ্যে,  প্রবাসে গিয়ে বাঙালির মাছ বলতে কি বোঝায় , "রোহু " । "ভাই আজ বংগালি মছলি খায়া। রোহু।  কেয়া টেস্ট , বড়িয়াহ। "

তাহলে পপুলার ভোটে জিতলো কে ? বাঙালি আর রুই এ যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত আছে। এমনকি আধুনিক "কাঁটা-ছাড়াতে-কষ্ট"  মামনি আর "মিট-ইস-হিট" পাগলু রাও কিন্তু মাছের মধ্যে এটাকেই বেছে নেয় খাওয়ার জন্য। হবে নাই বা কেন।  পয়সা উসুল মাছ তো। হীরের নাকছাবি বন্ধক রেখে একটা গোটা ইলিশ কিনে এনে , হয় সর্ষে দিয়ে ঝাল,  নয় বেগুন দিয়ে ঝোল, একটু কেতা মারলে ভাপা।  ভেটকি আনলে ডালনা, পাতুরি আর ফিশ ফ্রাই।  কিন্তু একটা গোটা আড়াই কিলোর রুই আনলে , প্রথমে ভাজা দিয়ে শুরু , তারপর ঝাল , তারপর ঝোল , তারপর মুড়িঘন্ট , তারপর কালিয়া , তারপর সর্ষে , তারপর পোস্ত।  ফিউশনের যুগে এখন তো মাছের চপ বা বড়াও দেখি রুই মাছ দিয়ে করে দিয়েছে।  তবে যাই বলো ভাই , দি ফেমাস মাছের ঝোল করতে কিন্তু ওই আড়াই কিলোর রুইই লাগবে।

বাঙালির মাছের ঝোল, আর মিষ্টি দই জানেনা এরকম বাঙালি-চেনা-অবাঙালি আমি প্রবাসের বারো বছরে দেখিনি। তা , সেই ঝোল যে অন্য কোনো মাছে হবে না সেটা আমার মানতে প্রথম প্রথম কষ্ট হয়েছিল।  তাই যে মাছই পেতাম সেই মাছেরই ঝোল বানানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু পরে বুঝলাম কলাগাছকে শাড়ি পড়ালেও সে বৌ হয় না। ম্যাকরেলে আঁশটে গন্ধ হচ্ছে , ভেটকিতে ভোটকা গন্ধ হচ্ছে , ইলিশের ঝোল বানালে পয়সা খাচ্ছি মনে হচ্ছে।  তাই গো ব্যাক টু "গুড ফর মাই টামি এন্ড গুড ফর মাই সোল্, রুই মাছের ঝোল।

ও হ্যাঁ , বিধিবদ্ধ সতর্কিকরন, তোমরা যদি সমস্ত কার্পকেই রুই মাছের সাথে সম গোত্রে রাখো তাহলে আর এক লাইনও  পড়ো না।  তোমাদের দ্বারা হবে না।  কার্প মানে কি ? যে মাছের আঁশ আছে আর সিঁড়দাঁড়া আছে তাদেরই কার্প বলে।  ভাষ্যে বলে সব রুইই কার্প কিন্তু সব কার্প রুই না।  যে মনিষ্যি বলে তেলাপিয়া রুই এর মতো খেতে , তাদের থেকে দূরে থাকা অভ্যেস করুন।

না , আমি ফিশ-রেসিস্ট নই , কাঁটা সবারই চেৰাই তবে রুই মাছের মাথা সাজিয়ে দেওয়া হয় যখন পাতে, তখন তার সৌন্দর্য্য থেকে মুখ ফেরানো অসম্ভব।  ইলিশের মাথা খেয়ে দেখো , একটা ঢ্যাঁড়স।  একটুও ঘিলু ফিলু নেই।  সেদিন সি-বাস আর ক্যাটফিস মানে মাগুরের মাথা পাশাপাশি রেখে ভাবছিলাম কোনটা সুন্দর।  শেষে দুটোই ডাস্টবিনে চলে গেলো।  রুই এর মাথা ভাজতে ভাজতে যখন ভেঙে ফেলে মুড়ি ঘন্টটা বানানো হয়।  তখন ওই বেরিয়ে আসা ঘিলু ম-ম করা ভাতের গন্ধে মিশে চার পাশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির তৈরী করে।  ফিশ বিরিয়ানি কে যাঁরা আহা আহা করে খান , তারা এইটুকু তো সিওর যে মুড়ি ঘন্ট খাননি।

বাঙালি খাদ্যে আর ব্যাবাক ভারতবর্ষের মাছ রান্নার মূল তফাৎ হলো তেঁতুল।  দিল্লি থেকে সিংহলে,  মাছ তেঁতুল ছাড়া রান্না হয় না। আর শুধু ভাজা মাছ খেলেও  পাশে থাকে তেঁতুল আর খেজুরের চাটনি। বাঙালির সাটল ( সাবটল আর কি ) টেস্ট এর টোম্যাটো  , পট্যাটো এন্ড চিলি , মানে টমেটো কাঁচালঙ্কা দিয়ে মাছের ঝাল যা মাছের আসল স্বাদ সংরক্ষণ করে , তার স্বাদ তারা কখনো পায়না।  এর মুল কারণ হলো , টাটকা মাছের যে স্বাদ সেটা তারা বোঝে না। ছোট রুই , মানে এক বিঘৎ থেকে এক আঙ্গুল লম্বা যে রুই মাছ হয়।  যেটা দোকানে কম জলে কেলি করে।  সেই মাছ কাটলেই গল গল করে বেরিয়ে আসে , মিউকাস। আহা , নাকের পোঁটা নয়।  মাছের গায়ের ওই হড়হড়ে বস্তুটি।  আর ওতেই আসে স্বাদ।  ওমেগা টোমেগা সব বলে না , ওই সব।  আর তাতেই ক্ষরণ হয় ডোপামাইন।

নামকরা সেলিব্রিটি মাছরা কিন্ত টাটকা আসেনা প্লেটে।  এলেও চিনতে পারবে না কারণ সারাজীবন পাতা খেলে কি রসগোল্লার স্বাদ বোঝা যায়।  রুই মাছ কিন্তু টাটকা পাওয়া সম্ভব।  মানে চৌবাচ্চাতেও বানানো যায়।  বিন্দাস বেড়ে উঠবে।  আবার ফ্রোজেন করে দিলে পাঁচ বছর টিকে যাবে।  পদ্মায় ধরা দশ পাউন্ডের পেল্লাই রুইটি যখন বাড়িতে নিয়ে এলাম।  ডেট কট দেখেই গা  ঘুলিয়ে উঠলো।  আগের বছর যখন দেশ থেকে ফিরছিলাম তখন মাছটিও আমার সাথে প্লেনে উঠেছিল।  কিন্তু এতদিন লাগলো আমার প্লেটে আসতে।  কিন্তু যেহেতু পয়সা দিয়ে কেনা, তাই ফেলা তো যায়না।  ডেট কট কাগজটাই ফেলে দিলাম।  কিন্তু যখন সেই পাকা রুই প্লেটে এলো কালিয়া হয়ে, তখন দুধ জমে আইস ক্রীম।


এই যে কালিয়া , কর দেখি অন্য মাছের কালিয়া। অনুপম কে দিয়ে টাইগার শ্রফের গান গাওয়ানোর মতো মনে হয়।  ঘটির মরণের সব কিছুতে পোস্ত দেওয়া বাঙালকে বোঝাতে গেলে আলুপোস্ত খাওয়ালে চলবে না।  টাটকা রুই এনে মাছ পোস্ত করে খাওয়াতে হবে।  তবে বুঝবে।

সে যাই হোক , আমার রোহিতারও লিমিটেশন আছে।  থাকবেই।  সেও তো মাছ।  এখন চালিয়ে নিলেও মাছের চপ কিন্ত রুই মাছের হয় না, কাঁটার জন্য ফিলে বেরোয় না , তাই ফিশফ্রাই হয় না, আমার এ রুই না ভাজিলে গন্ধ সেথায় নাহি ঢালে , তাই ভাপাও লাগেনা ভালো , মালাইকারি করা যায়না, নারকেলের সাথে আড়ি , উদিত নারায়ণও কীর্তন গাইতে পারে না।  কিন্তু সবথেকে যা পারে , তা হলো নাকে নথ লাগিয়ে সিঁদুর পরে সম্বন্ধ করতে।  যা চিংড়ি পারেনা পোকা বলে। তাত্ত্বিকের তত্ব কিন্তু বিয়ের আয়োজনের তত্বে চুপ করে থাকে।  ডালায় সে সেজে ওঠে সুন্দরী হয়ে। আর রাজ করে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে।  সবাইকে স্পেশালিস্ট হতে হয় না জীবনে।  কিছু থাকে যাদের রোজকার ডালভাতে দরকার লাগে।  তাই আজও রোজ বলি - আই লাভ ইউ রোহিতা।   


আগের প্রবন্ধগুলো 






  

Sunday, March 3, 2019

শিব বলছি - ওটা আমার মাথা নয়


না না ওটা আমার মাথা নয় , কতবার বলবো।  মাইক নিয়ে , কাগজে কলমে , টিভিতে , আকাশবাণীতে , গল্পে উপন্যাসে নানা ভাবে বলার চেষ্টা করলাম , কিন্তু ওই ব্রম্ভার বাচ্চা গুলো শালা কিছুতেই মানতে চায় না। চল, ঠিক আছে ওটা না হয় মানলি যে আমার মাথা, তাতেও তো একটু ভাবতে পারতিস , বাড়তে বাড়তে তোরা তো একশো কোটি ছাড়িয়ে গেছিস, এক দিন সারা দিন ধরে দুধ ঢেলে যাচ্ছিস মাথার ওপর একবারও  মনে হয় না আমারও তো দম নিতে লাগে। যোগবলে সব রোগ আরোগ্য হয় না।  গঙ্গা গিলিনি , মাথায় নিয়েছিলাম , জটায় , আর হাঁটু দিয়ে বার করেছিলাম।  নাকটা তো খোলা ছিল। এক মিনিট , এক মিনিট , এই গল্পটা তো জানিস , ওখানেও তো আমার জটা আছে , কোথায় আমি টাকলা হয়ে ছি রে ? শালা সব গাঁড়ল।  হাজা করে ছেড়ে দিলো।  আর দুধই কেন? দুধ হতে কষ্ট হয় জানিস না তোরা।  আর বাছুর গুলোর মুখের খাবার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে তোদের?  আমার ষাঁড় দুটো গরু পায়না যেহেতু বিষ্ণুর কাছে বাহন কোটায় প্রটেকশান পেয়েছে।  আর তোরা সেই বাহনকেই টিপে টিপে শেষ করে দিলি।  মেরে খেয়ে নে , এভাবে বেঁধে ধর্ষণ করে যাচ্ছিস রোজ রোজ। আচ্ছা ছাড় , আরেকটা বড় কথা , এবং খুব ইম্পরট্যান্ট কথা। যারা পড়াশোনা করে এসব করছিস মানছি তাদের আমার মতো বর লাগবে। তাহলে ওরা গাঁজা খেলে তোদের এতো সমস্যা কেন।  আমার ভালোলাগে , আমি গাঁজা খাই। ওরা তোদের লাল চোখের সামনে চোখ লাল করতে পারে না। গেঞ্জি না পড়লে বলিস আন সিভিলাইস্ড।   আর তোরা নাকি আমার মতো বর চাস। ছোহঃ।  দেখ, দুর্গার কাছে তোদের জন্য রোজ রোজ খিস্তি খাই , প্রাইভেট প্রপার্টি পাবলিক করার জন্য।  দিন রাত বলতে থাকে , “তুমি তো যেখানে সেখানে খুলে ঘুরে বেড়াও। “ প্লিস ছবি টাঙ্গা।  মুখের মূর্তি বানা।  এই ভাবে গোপন অঙ্গে দিন রাত সুড়সুড়ি আর ভালো লাগে না।  যারা ব্যাচেলর তাদের কথা হয়তো মানছি , ফ্রাস্ট্রেশন আর অজ্ঞানতায় তাদের ডিম্যান্ড প্রচুর।  কিন্তু যারা বিবাহিত তারা তো জানিস , সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘেমে  ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে শুধু ভিজে থাকার কারণে ইচগার্ড মাখতে হয়।  ওরে তোরা এটুকু তো ভাব পুরোটাই ড্ৰাই কৈলাশ নয়।  আবাহন করে যখন স্থাপন করিস তোদের ট্রপিক্যাল এরিয়াতে তখন আমার অস্তিত্ব ওখানেই বিস্তার হয়।  একসাথে হাজার এক্সিস্টেন্স নিয়ে আসে ছোঁয়াচে চুলকুনি।  এই জন্যেই তো প্যান্ট পড়িনা।  হাওয়া লাগাতে হয় শুকাতে।  আর পার্বতী বুঝতেই পারেনা।  এতো সুন্দর সুন্দর ডিজাইনার জামাকাপড় থাকতে খুঁজে খুঁজে কেন বাঘছাল পড়ি জানিস কি।  ভয় দেখাই , বাঘ যেমন মারতে পারি তোদের পেছনে বাঘ ও লেলিয়ে দিতে পারি।  কিন্তু এই ব্রম্ভা শালা মৃত্যুটা ডেলিগেট করে দিয়েছে।  সবাই মরতে ভয় পায় কিন্তু মৃত্যুর দেবতা কে ভয় পায়না।  ভয় পাওয়ানোর জন্য ‘যম’ কে রেখে দিয়েছে।  কিন্তু ওটা তো আমার মুন্সি রে পাগলা গুলো।  আমায় আছিস লাল শালুতে মুড়ে , সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গসন করাচ্ছিস আর দুধ ঢালছিস।  কি লজ্জা কি লজ্জা। একবার ভাব সারাদিন একটা জীব নানা জায়গায় গিয়ে ওরকম পোসে শুয়ে আছে আর সবাই দুধ ঢালছে। লজ্জা থাকলে যোগী হওয়া যায়না।  কিন্তু মহাযোগী হয়ে গেলে আর সবাই এরকম ব্যবহার করলে , একটু তো লজ্জা লাগে।  দিগম্বর আর নাগা সন্যাসীরা ঘন্টা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে কি আমাকেও তোরা সেম ক্যাটাগরিতে ভাববি।  আর শুধু তাই নয় , আমি কি তোদের বাপের সম্পত্তি।  আমার মন্দির গুলোতে একটু হাওয়া বাতাস খোলে না।  কোথায় কোন গুহার মধ্যে একটা লম্বা পাথর দেখেই মন্দির বানিয়ে দিচ্ছিস।  আমি মোটেও ওসব গোপন গুহায় বসে যোগসাধনা করিনা।  খোলা হাওয়ায় কৈলাশে ফুরফুরে মেজাজে সবাইকে ট্র্যাক করি। এসেছিস কখনো কৈলাশে। ওখানে দুমিনিট দাঁড়ালে হয় শুকিয়ে যাবে , নয় টাকে উঠে যাবে।  আর তোরা আমারটা ভিজিয়ে দিচ্ছিস।  শোন,  সব কিছুর কিন্তু সহ্যের লিমিট আছে।  যেহেতু ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী করতে বিষ্ণুর এতো বছর সমস্যা ছিল তাই আমি চুপ ছিলাম।  এখন কিন্তু সব তৈরী।  মানুষ ছাড়াও মানুষ তৈরী করা যায়। তাই সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।  মাঝে মাঝেই ট্রেলার তো দিচ্ছিই।  আগে কখনো এতো ক্যান্সার শুনেছিস কোথাও।  গ্লোবাল ওয়ার্মিং , সুনামি , ব্লিজার্ড , টাইফুন,  টর্নেডো , যুদ্ধ। সব কিন্তু ট্রেলার। নিজেদের দাম্পত্য মজবুত করতে আমার দাম্পত্যে আগুন লাগাস কেন মা।  ছেলে দুটো হাসে। মুখ লুকিয়ে , ফিচেল হাসি। আমি “চাকরী” বলে সাইড কাটাই। ওরা ভাবে মিডলাইফ ক্রাইসিস এ আমি এসব এনজয় করছি।  কিন্তু আমার আবার স্টার্ট , মিড্ , এন্ড কোথায়।  কলি পেরোলেই আবার সত্য , সেখান থেকেই তো এই নোংরা খেলা শুরু হয়েছিল।  মায়েরা তোদের বলছি শোন।  কোনো লাভ নেই। আমাকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া আর কিচ্ছু করছিস না। প্রসেস তো বানিয়ে দিয়েছি , শুধু ফলো করতে হবে।   ভালো বর পেতে ভালো করে পড়াশোনা কর।  চাকরি বাকরি করতে গেলে অনেক ছেলে দেখতে পারবি , আর অনেকেই তোকে দেখতে পারবে।  রাইট সোয়াইপ অনেকেই করবে। প্রেম ট্রেম করে বেছে টেছে নে।  যদি কেউ না পাত্তা দেয় , ম্যাচমেকিং করার জন্য তো বিষ্ণু “ইন্টারনেট” দিয়েই দিয়েছে।  কেউ বলেনা , আমি বলে দিচ্ছি।  সবার জোড় আছে।  শুধু এই ব্রম্ভার চারমুখের জন্য চারপাশে ছড়িয়ে আছে।  তাই যদি ব্যাচেলর হয়ে মরিস , জানবি অন্য কোথাও আরেক ব্যাচেলর ছেলেও মরছে।  ও ব্যাটাও কুঁড়ে , তুইও কুঁড়ে।  ইউটিউব ভিডিও দেখে এন্টারটেইন করে যাচ্ছিস নিজেদের।  বেসিক কাজ গুলো কে করবে। পৃথিবীতে মানুষ জন্তু হিসেবে তোদের ছাড়া হয়েচে , তা বলে কি তোরা জন্তু নোস। জ্যৈষ্ঠে কুকুর পাগল হতে পারে, আর তোরা হবিনা ? সব রুল ধর্ম হিসেবে তো বেসিক ভাবেই ছেড়ে দিয়েছি , পড়ে দেখ।  অন্যের কথা শুনিস কেন।  ওই হারামি পুরুত গুলোই আমার ইয়েতে দুধ ঢালার ফন্দি করেছে। আর ভাবিস না , পার্টনার মরে বা ছেড়ে গেলে দুধ ঢাললে কিছু হবে।  সব খাপে খাপে বসানো আছে।  ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট বলে প্রচুর গাল খেয়েছে ব্রম্ভা , এখন ডাক্তার টাক্তার বানিয়ে সব মিটিয়ে দিয়েছে।  এখন সব পেয়েছিস , কিন্তু শর্টকাট সেই দুধ ঢালা।  ওসব করে কিস্যু হবে না।  আমি এই শিবরাত্রি থেকে নোট নিচ্ছি।  দুধ ঢাললেই অভিশাপ।  ঢাললেই বরের একজিমা।  চুলকে চুলকে শেষ হয়ে যাবে। দগদগে ঘা হয়ে যাবে।  সর্বাঙ্গসন করে সিলিং ফ্যানের হাওয়া লাগাবে।  রস কাটবে। স্যালিকল আর ইচগার্ডের গন্ধে তোর শ্যানেলের গন্ধ মুছে যাবে। আরো আছে , কিন্তু সব বলে দিলে ব্রম্ভা নিশ্চই কিছু একটা ওষুধ বানিয়ে দেবে।  শালা নিজে ইন্সেস্ট , নিজে চরিত্রহীন , নিজে চারমুখে গু ছড়াচ্ছে , আর আমার দিকে লেলিয়ে দিচ্ছে নিজের সৃষ্টি।  যাইহোক , ওটা কলিগের মধ্যে ব্যাপার।  তোদের মাথা না ঘামালেও চলবে।  কিন্তু নিজেরটা দ্যাখ।  এই শিবরাত্রিতে নো দুধ।  আর আবার বলছি - ওটা আমার মাথা নয় , নয় -নয় - নয়।