Saturday, May 9, 2020

#গো_করোনা_গো ( ২০ ) - আনসাং হিরোস



unsung heroes - কথাটা এলে এদের নাম কেউ নেয় না।  কারণ এরা প্রাণ বাঁচায় না।  জীবন বাঁচায়।  করোনার প্রকোপে গৃহবন্দী কোটি কোটি মানুষ এই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমে না।  বরঞ্চ তাদের কপালে জোটে গালাগালি।  কারণ এদের নাম নেই।  নেই এদের একক প্রচেষ্টার কোনো মূল্য।  এই গোষ্ঠী যা মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছে মনুষ্যত্ব লোপ পাওয়ার ভয়। সেই গোষ্ঠী যাদের কারণে মানুষ মানুষকে ভুলে যন্ত্রের দাস  হয়ে গেছে।  সেই টেকনোলজির মানুষগুলির গান কেউ গায় না।  

করোনা মৃত্যুদূত।  তাদের সাথে সাদা কালো যুদ্ধে লড়ছে ডাক্তার রা। আর টেকনোলজি লড়ছে তাদের জন্য যারা ঘরে বন্দী , অথচ মৃত বা আহত নয়।  মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে এখনো তারা মানুষ, এবং তারা মানুষই থাকবে।  

মানুষ এখনো মারা যায়নি।  মরতে দেয়নি এই প্রযুক্তিবিদ্যা।  ঘরে বন্দী থেকে অনলাইনে চলছে অর্ডার।  বাড়িতে আসছে খাবার।  ধরে নিন সেই দিনগুলির কথা, যেদিন ইন্টারনেট নেই।  নেই ফোন।  আছে করোনা।  আর আপনি গৃহবন্দী।  বাইরে পুলিশের লাঠি , নয় মারণ ভাইরাসের কামড়।  ভেবেছেন কখনো স্প্যানিশ ফ্লু তে লকডাউন না হয়ে ছাতারের মতো মানুষ কেন মরেছিল।  শুধু টেকনোলজি ছিল না বলে।  

বৃদ্ধ বাবা মা কে রেখে মোটে তিরিশ কিলোমিটার দূরে থাকা মানুষ গুলোর ছটফটানি থামছে ভিডিও চ্যাটে।  পঞ্চেন্দ্রিয়র অন্তত দুটো ইন্দ্রিয়ের পরিতুষ্টির দায়িত্ব নিয়েছে এই টেকনোলজি।  দুই দেশে আটকে পড়া মানুষগুলো বলছে , “মা , বেরিও না বাইরে।  আমি অনলাইনে অর্ডার করে দিচ্ছি।” 

ঘরে বন্দী থেকে কিচ্ছু করার নেই বলে আতিয়ে পড়া মানুষ আজ “বোকাবাক্স” নাম দেওয়া যন্ত্রের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।  দেখছে সেই সুন্দর দিনগুলোর কথা।  মনে রাখছে সেও মানুষ।  সরাসরি রাষ্ট্রনায়কদের কথা শুনছে।  শুনছে বিশ্বব্যাপী তান্ডবের কথা।  কখনো ভেবেছেন কি ভাবে এ সব সম্ভব।  

কখনো ভেবেছেন ওয়্যারলেস  কিন্তু আদপে তারে তারে সংসযোগ।  আপনার জন্য কেউ টাওয়ারে চড়ছে শুধু এক এন্টেনা থেকে আরেক এন্টেনার পনেরো ডিগ্রি এঙ্গেল ম্যাপ রাখতে। ঝড় জলের শেষে পাওয়ার কাটে বিরক্ত হয়ে “ধুর শালা” র পর যখন কারেন্ট আসে তখন ইলেকট্রিক টাওয়ারে ওঠা ছেলেটার কথা কি কখনো মনে করেন।  ঠিক সেরকম ভাবেই আজ ধন্যবাদ পায়না সেই মানুষগুলোর কথা যারা আজও প্রাণ হাতে করে রাউটার রুমে বসে আছে যাতে আপনার অর্ডার পৌঁছে যায় দোকানগুলোর কাছে।  জানেন তো সেন্ট্রালাইজড এয়ার কন্ডিশনে করোনা তাড়াতাড়ি ছড়াচ্ছে।  

দিব্যি লাগছে অনেকের ওয়ার্ক ফ্রম হোম।  বাস ট্রামে ধাক্কাধাক্কি নেই।  নেই চ্যাঁচামেচি চিৎকার।  আছে শুধু ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট।  হয়ে যাচ্ছে কাজ।  বাড়িতে বসেই জগৎ কাঁপাচ্ছে মানুষ।  কনফারেন্স কলে বাড়ি দেখা যাচ্ছে বলে হা হুতাশ করছেন। আর প্রাইভেসি চলে যাচ্ছে বলে বাপ বাপান্ত করছেন।  তাদের বলে রাখি , যেহেতু আপনি আপনার ডেটা শেয়ার করছেন তাই কোম্পানি আপনাকে এলাউ করছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার।  নাহলে আপনি ডেটা বিক্রি করতে পারতেন যে কোনো ভাবে।  যা যেকোনো কোম্পানির কাম্য নয়।  

এই টেকনোলজি জায়েন্টরা এই সমস্যার দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে বলে সবার লালামিশ্রিত ঘেন্না বাড়ছে বড়লোকদের প্রতি।  কিন্তু শুধু এই কোম্পানিগুলো কোনো না কোনো সময়ে জল কাদা বৃষ্টির কষ্ট ত্যাগ করে সমুদ্রের তলায় , পাহাড়ের ওপরে , মাটির নিচে বিশাল বড় বড় ডেটা সেন্টার বানিয়েছিলো বলে আজকে আমি আপনি ঘর নামক জেলে বন্দি হয়ে পেনের শিস চোখে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করছি না ,  বরঞ্চ  নেটফ্লিক্স এন্ড ছিল করছি।  

মাসের পর মাস বন্ধ থাকা স্কুল খুলে যাচ্ছে অনলাইন এডুকেশনে।  প্রাইভেট টিউটর রা ক্লাস নিচ্ছে ভিডিও চ্যাটে।  হোম ওয়ার্ক আসছে পিডিএফ এ আর প্রিন্ট করে সেটাই হচ্ছে ক্লাস।  আপনার আমার বাড়ি কখনো হয়ে যাচ্ছে স্কুল , কখনো কলেজ , কখনো অফিস কখনো দোকান।  হ্যাঁ হ্যাঁ দোকান ও।  সেলাই মেশিন নিয়ে মাস্ক বানিয়ে বিক্রি কি আগে করতে পারতেন।  ফেসবুকে টুক করে এড বানিয়ে হাজার হাজার ডেলিভারির অর্ডার কি কখনো আগে পেতেন।  ঘরে বসে ফ্রি টাইমে বানানো আর্ট এখন লোকে বিক্রিও করছে।  আর ইন্টারনেট কে গালাগালিও। দিচ্ছে, তাদের প্রাইভেসি শেষ করে দেওয়ার জন্য।  

সব কথার শেষ কথা, এই পুরো দক্ষযজ্ঞে ইন্টারনেট বা কম্পিউটার সম্পর্কিত তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কালো হাত নেই।  অথচ সবথেকে বেশি অর্থনৈতিক ডোনেশন তাদের হাত দিয়েই পেয়েছে পৃথিবী।  পয়সা দিয়ে , সার্ভিস দিয়ে , শান্তি দিয়ে মানুষকে মানুষ করে রেখেছে এই তথ্য প্রযুক্তি । শুধু এই ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাঁচিয়ে রাখতে, এই পরিষেবা দিতে , বেশ কিছু মানুষ প্রাণ দিয়েছে , শুধু অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে।  এই ছোট্ট সময়ে , এতো বড় দক্ষ যজ্ঞ সম্পন্ন করতে আহুতি দেওয়া হয়েছে।  নাঃ তারা পি পি ই পায়নি।  

থাক, আর বললাম না।  নিয়মমতো , “হোয়াটস ইন ইট ফর মি।” আমার বেঁচে থাকার জন্য আজ এদের অবদান আমি অন্তত অস্বীকার করতে পারবো না।  তাই বলি , 
“এই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি , 
যারা জীর্ণ মলিন মুখে জাগালো ভাষা , 
জীর্ণ জাতির প্রাণে জাগালো আশা। …… ”           

#গো_করোনা_গো ( ১9 ) - আজ পর্যন্ত। .......




 #গো_করোনা_গো ( ১9 ) - আজ পর্যন্ত। ....... 

-- আজ পঁয়তাল্লিশ  দিন গৃহবন্দী ( মাঝে মাঝে গ্রসারি ) 
-- আমেরিকায় আটষট্টি হাজার লোক মারা গেছে করোনায় আর বিশ্বে আড়াই লক্ষ আর দেশে মারা গেছেন দু পাঁচজন। 
-- বাইরে মাস্ক ছাড়া বেরোনো আইনত অপরাধ তাই জাঙ্গিয়া মুখে পরেও লোকে বেরোচ্ছে 
-- লাল বাঁদরের মতো দেশে পেছন লাল করে মানুষ ঘুরছে 
-- লাল জোনে যে শহর গুলোর নাম পড়েছে তারা সবুজ জোনের মদের দোকান খোলা দেখে রেগে লাল হয়ে গেছে।   
-- জটলা দেখলেই রাজনীতির গন্ধ পেয়ে ছুটে যাচ্ছে সোশ্যাল পুলিশ , খ্যাঁক খ্যাঁক করলেই বলছে আমরা কি চা খাবো না ? 
-- মানুষ এখনো মনে করছে তাদের ভগবানে বাঁচাবে 
-- রমজানের চাঁদ দেখে শেরি করতে বাড়িতে বাড়িতে হচ্ছে ভিয়ান 
-- ওপাড়ার মামনি এপাড়ার চাঁদুকে চুমু না খেয়ে আজও ঘুমোতে পারছে না। .. ফ্লাইং কিস 
-- তেইশ ডিগ্ৰীৱ ওপরে না বাঁচা ভাইরাস চল্লিশ ডিগ্রিতে লোককে নাকানি চোবানি খাওয়াচ্ছে 
-- দান করে সেলফি তুলছে লোকে , থ্যাঙ্কু না বললে থাপ্পড় 
-- কাঁসর ঘন্টার জায়গায় থালা বাজিয়ে মিছিল বার করা জনতার রোডিস এ আর কোনো টাস্ক দিচ্ছে না সুপারম্যান 
-- ব্লিচ শরীরে ইনজেক্ট করলে ঠিক কি হবে তা নিয়ে চলছে গবেষণা 
-- বন্দুক উঁচিয়ে সব খুলে দেওয়ার জন্য জনতা নেমেছে রাস্তায় 
-- মদ পাচ্ছে না বলে দেশের অর্থনীতি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছে দেশবাসী 
-- মদ পাচ্ছে বলে আমেরিকায় সবার নাক লাল 
-- সবাই রাঁধছে ও খাবারের ছবি দিচ্ছে ( সাজানোর চক্করে খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে) 
-- ঘরে বসে খেয়ে খেয়ে ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে আর হাঁটুতে সমস্যা বাড়ছে 
-- ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকলেও ভয়ঙ্কর সক্রিয় মানুষ হোয়াটস্যাপ ফেসবুকে 
-- চিকেন চাউমিন চিলি ফিস খেতে খেতে চাইনিস মোবাইলে চাইনিস দ্রব্য বয়কট করার আর্জি জানাচ্ছে সবাই 
-- দিনান্তে সবাই সবাইকে পরিষ্কার থাকার জ্ঞান দিচ্ছে 
-- গরিবের কি হবে সেই বুক ফাটা আর্তনাদ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে ফেসবুকে 
-- সবাই হাতে বাইনোকুলার নিয়ে বসে আছে 
-- ঝাড়ি মারা আর টোন টিটকিরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য নারীবাদ আপাতত গুটিয়ে আছে 
-- সমস্ত ইসম আর বাদ আপাতত বাদ দিয়ে সবাই বাড়িতে বৌয়ের ঝাড় খাচ্ছে 
-- ঘরে ঘরে চলছে প্রস্তুতি ডিভোর্সের 
-- বারান্দার টাইম ল্যাপ্স ভিডিওতে একটু ধুলো পর্যন্ত নড়ছে না 
-- রাস্তা ঘাটে দইওয়ালার ঘুরে বেড়াচ্ছে আর অমল বসে আছে জানলা ধরে 
-- আমেরিকাতে বসন্ত এসে গেছে বলে স্প্রিং ব্রেকে ফ্লোরিডায় বিকিনি ধরতে করোনা ছুঁড়ে মারছে সবাই 
-- বনগাঁ লোকালের ডেলিপ্যাসেঞ্জার ওয়ার্ক ফ্রম হোম পেয়ে স্টেটাস দিচ্ছে "বোরড লাইক হেল " 
-- ওজোনের ফুটো বন্ধ হয়ে গেছে 
-- স্যানিটাইজার এখনো পাওয়া যাচ্ছে না কারণ অনেকেই চরণামৃত করে খাচ্ছেন 
-- বাথরুম টিসু নিয়ে ফুটবল খেলছেন মানুষ আর কিছু লোক গু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন 
-- যদি হঠাৎ কালকে প্রতিষেধক বেরিয়ে যায় , সবাই ছোট ছোট ঘুমটি খুলতে পারে বাড়ির ব্যালকনিতে 
-- হাত ধুয়ে ধুয়ে হাতে হাজা হয়ে গেছে কিন্তু ওষুধ নিতে গেলেই করোনা ধরবে 
-- সব স্কুল পড়ুয়া পাস্ করে গেছে আর বাবা মা রা বাঁশ খেয়ে গেছে 
-- যারা গায়ক নয় তারা গাইছে , যারা বাদ্যকার নয় তারা বাজাচ্ছে আর যারা লেখক নয় তারা আমার মতো লিখে সময় নষ্ট করছে আর হ্যাজাচ্ছে। ............ 

#গো_করোনা_গো ( ১৮ ) - বসন্ত এসে গেছে !!!

#গো_করোনা_গো ( ১৮ ) - বসন্ত এসে গেছে  !!!
 
 আজ হোক না রং ফ্যাকাশে তোমার আমার আকাশে , 
 চাঁদের হাসি যতই হোক না ক্লান্ত।  
 বৃষ্টি নামুক নাই বা নামুক ঝড় উঠুক নাই বা উঠুক 
 আজ বসন্ত। …… 
 
 মনের আকাশে সত্যি রং বড্ড ফ্যাকাশে। ঘরের বাইরে পরে থাকা মন এখন বাধ্য ঘরের বাঁধনে। প্রাণ হাতে নিয়ে বাইরে বেরোনো আর নিঃস্বাস আটকে ফিরে আসা এখন জীবনের অঙ্গ।  টিভি , ল্যাপটপ আর ট্যাবলেটে ধ্বসে যাওয়া আউটডোরের আনন্দ রিওয়াইন্ড করে দেখতে দেখতে আর কত দিন কাটানো যায়।  
 
 গত সেপ্টেম্বরে হঠাৎ শুরু হয়েছিল জিকা ভাইরাসের নাটক।  মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচাতে সেই ঘরে বন্দি হয়ে গেছিলাম।  তারপর শীত আর বাধ্যতামূলক মনের  শীতঘুম। কিন্তু আজ বসন্ত।  
 
মানুষ যে ভাবে প্রকৃতির অপচয় করেছে , আজ প্রকৃতি জানলার বাইরে মেলে দিয়েছে রূপ আর বলছে , “দ্যাখ কেমন লাগে। ” ঘাস হয়েছে সবুজ।  ফুটে উঠছে ড্যান্ডেলায়ন।  শুকনো ডালে গজাচ্ছে নতুন পাতা। গোলাপি চেরি ব্লসম আর সাদা আপেল ব্লসম এর শেষে এখন হালকা সবুজ গাঢ় সবুজের খেলা।  অবাধ সূর্যের ঔদ্ধত্ব রুখতে এখন মুখিয়ে উঠেছে কচি পাতা।  দু হাত বাড়িয়ে শুষে নিচ্ছে সূর্যালোক , আর স্বাধীনতাকামি মানুষগুলোর বুভুক্ষ হৃদয়ে জেগে উঠছে হিংসা।  কি সুন্দর আজ প্রকৃতি।  

শীতে উত্তর আমেরিকার রুক্ষ ছবি এতটাই রুক্ষ যে ক্যামেরাতে ধরা পরে শুধুই সাদা কালো ছবি।  দশটা পোশাক চাপিয়ে ভালুকের মতো কাটানো বছরের অর্ধেক সময় থেকে বেরিয়ে আজ উদ্দাম নগ্ন নৃত্য করতে ইচ্ছা করে মন।  হিটারের শুকনো হাওয়ায় ঢোক গিলে হিউমিডিফায়ার চালিয়ে নাক দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্ত কে বন্ধ করতে হয় সারাটা শীত।  তারপর বৃষ্টির ভিজে ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে সময় পেরিয়ে যখন বসন্তের হাওয়া এসে শরীরকে শরীর বানায় তখন ভেঙে যাওয়া শরীর আবার বাঁচতে চায়।  

সবুজ ঘাসে পা দিয়ে চলতে চলতে , নাম না জানা আগাছার লাল নীল ফুলের নাম দিতে দিতে, প্রথম গাছ বসায় মানুষ।  শহরের ব্যালকনি , সাবারব এর ছোট্ট ফ্লাওয়ার বেড , গ্রামের ব্যাকিয়ার্ড সাজানোর সময় শুরু হয়।  পাখির আওয়াজ বাড়তে থাকে।  আর আসে হামিং বার্ড।  চিনিগোলা জল দিয়ে তাদের ডেকে আনা হয় প্যাটিওতে।  কিচির মিচির করে দৌড়ে বেড়ায় কাঠবিড়ালি আর খরগোশের ছানা।  ট্রাফিক আটকে  পার হয় ক্যানাডিয়ান গুস আর গোল বলের মতো ছোট ছোট গুসলিং। ফাঁকা মাঠে মাটি ফুঁড়ে ওঠা কেঁচো খেতে মাঠে ভিড় করে রবিন , ফিঞ্চ , চড়ুই আর মার্টিনের দল।  আর তাদের কিচির মিচিরের সাথে শুনতে পাওয়া যায় খিল খিল করে হাসতে থাকা শিশুদের খেলার শব্দ।  

আজ সবই বন্ধ। নানা সব নয়।  মানুষগুলো। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে গরম নিঃস্বাস বাতাসে মিলিয়ে দিয়ে শান্ত হয় আবার ইউটিউব , নেটফ্লিক্সে ফিরে আসছে মানুষ।  পাখি পাখির মতো উড়ছে , গাছে গাছে ফুল ফুটছে , গরম হয়েছে বাতাস।  ম্যাগনোলিয়ার গন্ধে ম ম করছে বাতাস।  বসন্ত তার মতো পাখনা মেলছে আর মানুষ গুটিয়ে নিয়েছে মনের পাখনা।