Monday, June 24, 2019

ফাদার্স ডে ২০১৯

ফাদার্স ডে ২০১৯
------------------------------------------------------------------
এর বাবার পয়সা প্রচুর , ওর বাবার সিক্স প্যাক ,
তার বাবার জ্ঞান বেশী , কানের কাছে প্যাঁক প্যাঁক।
এর বাবা সম্মানীয় , ওর বাবা কাছের লোক ,
তার বাবা মাতাল বেতাল ,ধোঁয়ার সাথে দেয় ঢোক।
এর বাবা দ্রাঘিমাতে , ওর বাবা পাশবালিশ ,
তার বাবা লম্পট এক , পয়সা দিয়ে নেয় মালিশ।
এর বাবা বিচক্ষণ , ওর বাবার আছে লোকবল ,
তার বাবা ঘরকুনো , সোফায় বসে ফুটবল।
লোকের বাবার নিক্তিতে, বাবাকে মেপেছি রোজ তুলে ,
বাবার থেকেও ভালো বাবা , যদি পাই দুয়ার খুলে।
ছোটবেলার বিরক্তি , আর বড়বেলায় চীৎকার ,
বুঝিয়ে দিয়েছি , "তুমি ফালতু" , আরো ভালো হওয়া দরকার।
পা গলাতে বাবার জুতোয় আজকে সবই পরিষ্কার
সংসারেতে তলিয়ে আমার বুদ্ধির হলো সংস্কার .
আজকে জানি অট্টালিকার মজুর মাখে মাটি ,
ধৈর্য্যে , স্থইর্য্যে , অপেক্ষাতে বৃক্ষ আমের আঁটি।
ছোট্ট প্রাণের বৃদ্ধিতে তাই হারিয়ে গেছে স্বার্থ ,
আমার বাবা কি, আমায় ছেড়ে নিজেকে সময় দিতে পারতো ?
আমিও বড় হচ্ছি আজো , করছি ভুল নিত্য ,
ভুলের মাসুল গুনতে হবে , জানি যে এই সত্য।
ভ্রুকুটিভরা প্রশ্নে রবে অবদানের বিশ্লেষণ ,
নিক্তিতে তার উঠবে আমার পরাজয়ের সংশ্লেষণ .
প্রতিপ্রশ্নে আসবে উঠে " আমার জন্য কি করেছো ? "
অন্য বাবা এগিয়ে অনেক তুমি শুধুই হেরেছো .

বাবার মতো বলবো তখন , "যা ঠিক বুঝেছি করেছি।
সাধ্যমতো নিজ সামর্থ্যে স্বার্থ ছেড়ে তোকেই আমি গড়েছি।
বাবা হলেই বুঝবি বাবা , কি আছে বাবার রাগে ,
মুচকি হেঁসে বলবে দাদু , "দেখ কেমন লাগে"

--- অর্ক ভট্টাচার্য 

নারী কবে পুরুষ হবি তুই

নারী কবে পুরুষ হবি তুই 
*****************************************************
পুরুষ তুই বড্ড একা , শক্তি নিয়ে করবি কি রে তুই , 
সবার আছে বুদ্ধি তোকে মারার , অপরাধী সব কাজেতেই তুই।  
বৌমা নিয়ে আসবি বলে , মায়ের কানে কানে , 
তাকানো কবে বন্ধ করেছিস , মায়ের মুখপানে।  
স্বপ্নদেশে স্বপ্ন কিনতে গিয়ে , দুটো কাপড় হয়নি কেনা তোর , 
আজ তবে কোন ক্ষমতাতে , দেখাস তুই বৌয়ের পরে জোর।  
রাতের ঘুমে নিজেকে করিস তাড়া , সকাল হলে সবাই লাগে পিছু , 
সময় যখন আসে তখন, তোকেই হতে হবে , সবার সামনে নিচু।  
নাম দিয়েছিস সম্পর্কে , ধাম দিয়েছিস তবু , 
“কি করেছো এ সংসারে” , বলেন গৃহের প্রভু।  
বিয়ে করেছিস সহযোদ্ধার সাথে , যুদ্ধকালে বুলেট নিবি তুই , 
যদি ভুলে তার গায়ে লেগে যায় আঁচড় , জানবি এক কাপুরুষ তুই।
সেদিন যখন প্রতিটা ঘর খুঁজে , তুলে নিয়ে গেলো সকল পুরুষগুলোয় , 
নারী -শিশুদের মাফ করে দিলো সবাই , তোদের ঢোকালো জ্বলন্ত সেই চুলোয়।    
কারো কাছে প্রিয় হতে গিয়ে , সবার কাছে খারাপ হতে হতে , 
বলবে সবাই , “ তোরই আছে ভুল ” , নুনের বোঝা ডলবে আঘাতে।  
রোজগার করা তোরই দায়িত্ব , সিঁদুরদানে কিনেছিস এই বোঝা , 
“পরিবার” তো শুধুই তোর নামে , হিসেবটাতো এক্কেবারে সোজা।  
বাজার মাঝে সস্তা খুঁজে খুঁজে , কিপ্টে বলে লোকে এড়িয়ে যায় , 
ব্যাংক ব্যালেন্সটা আসল পরিচয় , প্রশ্ন শুধু , “পয়সা কোথায় যায়।”
চরিত্রটাকে মুঠোর মধ্যে করে , যদি বা থাকিস শিরদাঁড়া করে সোজা , 
“এতো দেমাক চাকরিতে কি চলে” , কেমনে টানবে সংসারের এই বোঝা।  
তোরই কারণে জন্ম নবজাতকের , বাঁধা পড়েছিস কর্তব্যের মোহে , 
“মিনমিনে” তুই , “ঘ্যানঘ্যানে” তুই , ছোট্ট শিশুর স্নেহে।  
প্রেমিক মানুষ , ভাবুক চোখে , বিশ্বভাবে মশগুল 
তোর কবিতার পেটে লাথি , করিসনাকো এই ভুল।  
পালাতে চাস ?  বিবেক  জেঠু, দেখবি দাঁড়িয়ে আছে , 
এক নিমেষে নপুংসক,  হবি সবার কাছে।  
যে নারীর হাতে তুলে দিয়েছিস স্বাতন্ত্রেরই  অস্ত্র , 
তোর ভুল সে করবে না ক্ষমা, করবে নির্বস্ত্র।    
এতো সয়ে , যখন নেশায় মুখ লুকোতে চাস , 
“মাতাল” তুই নোংরা মানুষ , কুকর্মের নির্যাস।  
পুরুষ তবে বাঁচবি কি ভাবে , যদিও প্রকৃতি চায়না বিশেষ তোকে , 
মানবজন্ম কষ্ট করে যা , মরবি যখন বাঁচবি না কো শোকে।  
ভুলেও যেন শেষ করিসনা জীবন , নীরব হয়ে কর্ম করে যা , 
সরব হবি পুরুষ মাঝে , এই জীবনটা কাটিয়ে দিয়ে যা।  
পুরুষ তুই কাঁদতে পারিসনা , কাঁদলে পরে বাঁচতিস আরো তুই  ,
সকল পুরুষ জৈবভাবে নারী ,  নারী কবে পুরুষ হবি তুই।