Wednesday, October 30, 2024

কালীপূজায় দেশগমন


~~~~~~~~~~~~ কালীপূজায় দেশগমন ~~~~~~~~~~~~
---অর্ক ভট্টাচার্য---

"ও মা।  তুমি নতুন ঝ্যাঁটা কেনোনি? " কাজের মাসির আওয়াজ কানে এলো বেডরুম থেকে। গিয়ে দেখি সত্যি সত্যি মহাপাপ করে ফেলেছে গিন্নী।  ধনতেরাসে নাকি ঝ্যাঁটা,বারণ কিনতেই হয়।  সোনা-রুপা তো আছেই। কিন্তু ঝাঁটা কিনতে ভুলে গেলে ভগবান মাফ করে দেবে, কাজের মাসি মাফ করবে না।  পরশুদিন ধনতেরাস গেছে।  সে নাকি সকালে তার ঝাঁটা ফেলে দিয়ে গেছে নতুন ঝাঁটা  আসবে বলে।  কালকে প্রি কালীপূজা হলিডে তাই কাজে আসেনি।  এসেছে আজকে।  আর এসে দেখে এই কেস। 

 

চোদ্দ শাক , চোদ্দ প্রদীপ , বাজি , বোমা , রকেট , তুবড়ি , রাত জেগে পূজা , সাদা কালী , কালো কালী , শ্যামা কালী ,  এসব নিয়েই ছিল ছোটবেলাকার কালী পূজা।  মা প্রবাসী তাই ধনতেরাসে সোনার দোকানের দিকে জুল জুল করে তাকিয়ে বাসনের দোকান থেকে কাঁসা-পিতলের বাসন কিনে ব্যাজার মুখে ফিরে আসাটা ছিল মায়ের বাৎসরিক আচার। বিদেশে এসে টু পাইস কামিয়ে , কাঁসা পিতল থেকে সোনায় উত্তরণ হলেও ঝাঁটা কিনতে হবে এটা কিন্তু কখনো ভাবিনি।  পি সি চন্দ্রের ছোট্ট দোকানে ধাক্কা-ধাক্কি ভিড় দেখে পালিয়ে আসছিলাম, কিন্তু গিন্নীর লাল চোখ ভীড়ের থেকেও ভয়াবহ।  কখন শিব হয়ে পায়ের তলায় লুটিয়ে পড়তে হবে, তার থেকে ভিড়ের গুঁতো বুক পেতে নিলাম। সেও যে কি কিনেছে সেটাও খেয়াল করিনি কনুইয়ের গুঁতোয়। শুধু বুঝলাম সে ভুলে গেছে ঝাঁটা কিনতে। ভুলবেই না বা কেন ! বাড়িতে ফিরতেই ইনস্টাগ্রামে দেখছিলো "পোস্টিং ডাইরেক্টলি  ফ্রম তানিস্ক নিউ জার্সি " মন খুঁত খুঁত তো করবেই। 

 

অনেক বছর পর কালী পূজায় দেশে থাকার জন্য হঠাৎ করেই এবার কালী পূজা একের জায়গায় তিন দিনের। ধনতেরাস থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি।  শুধু সোনা-রুপা বাসন-কোসন না । ছেলের সাথে চুটিয়ে বাজী ফোটানোর স্বপ্নে পাইকারি হারে বাজী কেনার জন্য হাজির হয়েছিলাম কল্যাণীর বাজী পাড়ায় । ছোটবেলায় কলকাতার এক বাজী বাজারে যাওয়ার স্মৃতি থেকে মাথায় ছিল অনেক ছোটো ছোটো স্টলের কথা । এখানে গিয়ে দেখি সব পার্মানেন্ট দোকান। এখন লোকে সারা বছরই বাজী ফোটায়। ফুলঝুরি , তুবড়ি , রংমশাল , চরকি , হাত চরকি , সাপবাজি , ছুঁচোবাজি এইসব ট্রাডিশনাল বাজীর পাশাপাশি হাজার ধরণের রকেট । এখন আবার রকেট বলে না । বলে শেল । ওয়ান থেকে থার্টি শট হাজির । একটা হাউই খালি বোতলে লাগিয়ে পেছনে আগুন দিয়ে আকাশে পৌঁছে দিতে পারলেই যে বাচ্চার জীবন ধন্য মনে হত, সেই এখন আকাশে মালা টালা হবে সেই সব বাজির খোঁজ করছে। পেয়েও গেলাম । আমেরিকার পাইরোটেকনিকের কেরামতি দূর থেকে হাঁ করে দেখে মন পড়ে থাকতো সলতের দিকে।  এবার নিজের হাতেই  অগ্নিনিক্ষেপ। মনের গভীর থেকে ছোটো একটা আমি বলে উঠলো “ সবই তো হলো।  কিন্ত বুড়িমার  চকোলেট বোম, দোদোমা , ত্রিদোমা , ফটফটি , কালিপটকা  কোথায় ? “ আমি লজ্জায় চুপি চুপি আমাকে চুপ করিয়ে দিলাম । এখন বড় হয়েছি, বাচ্চাদের হাতে বোমা তো আর তুলে দিতে পারিনা । তবু লজ্জার মাথা কেটে দু তিন প্যাকেট কালিপটকা পুরেই নিলাম ব্যাগে। আমেরিকার যে শহরে থাকি সেখানে এখনো বাজী ব্যাকিয়ার্ডে পোড়াতে দেয় না । তাই প্রাণ ভরে গাড়ি বোঝাই করলাম যা পাওয়া যায় তাই দিয়ে ।

 

আমেরিকায় চোদ্দশাক জোগাড় করতে চোদ্দ হাল হয়ে যায়। কিন্তু ভূতচতুর্দশীতে চোদ্দশাক হলো পরের দিনের পাঁঠার ওয়ার্ম আপ ফুড। কোনো বিকল্প নেই।  পালং, সজনে, লাল শাক, মূলো, মেথি, পাট, গিমে, পুঁই, কুমড়ো, কলমি, সরষে, নটে, হিঞ্চে ,শুষনি , এই চোদ্দ সবুজে হয় চোদ্দশাক। সব কি আর এখানে পাওয়া যায় নাকি? তার ওপর কালীপূজা হয় প্রথম ফ্রস্ট ডেটের পরে, সব গাছই তখন ভূত।   পালং , মুলো , মেথি , কুমড়ো , পুঁই , সর্ষের জোগান থাকে বটে। আজকাল সজনেও আসে মরিঙ্গা নামে। দক্ষিণী বন্ধুদের কমিনউনিটি গার্ডেন থেকে প্ল্যান করে ফ্রোজেন করে রেখে দিতে হয় গ্রীন আর রেড আমারান্ত মানে নটে আর লাল শাক।  কপাল ভালো থাকলে লাউ শাক , ছোলা আর মটর শাক। আর বাংলাদেশী স্টোরে বলে রাখতে হয় পাট শাকের ফ্রোজেন স্ল্যাবের জন্য। কলমির শাক নিয়ে আসতে হয় কোরিয়ান স্টোর থেকে। এতো শাক হয়ে যায় যে চোদ্দশাকের পরের দু তিন সপ্তাহ ফ্রিজারের দিকে তাকালে ভয় হয় কখন বাঘ টাঘ না বেরিয়ে আসে।  দেশে এসবের কোনো চাপ নেই।  বাজারে গিয়ে দেখি পালতি মেরে বঁটি নিয়ে সারি দিয়ে দিয়ে বসে বসে কুচোচ্ছে নানা ধরণের শাক।  কত মুঠো চাই , শুধু বললেই হবে।  বস্তা থেকে তুলে প্যাকেটে পুরে তোমায় দিয়ে দেবে।  ওই নানা রঙের কুচানো শাক গুচ্ছে কোনটা যে কি, তা বোঝা দায়। শুধু বিশ্বাস এই যে তারা ঘাস কুচিয়ে দেয়নি।  আর জানেনই তো , বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

 

চোদ্দো শাকের পরে আসে চোদ্দপ্রদীপ।  কাঠের ঘরে আরেক বাঁশ।  মাটির প্রদীপ সর্ষের তেল দিয়ে জ্বালিয়ে বাড়ির দশ কোণে , সামনের দরজা, পেছনের দরজা , ঠাকুরঘরে আর রান্নাঘরে রাখার নিয়ম মায়ের দেখেছি। এখন যে বাড়িতে বেগুন পোড়াতে ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠে সেই জতুগৃহের দশকোণে প্রদীপ লাগালে হার্টবিট কন্ট্রোলে থাকে না।  প্রথম প্রথম এক দুবার চিরাচরিত প্রথা মানতে গিয়ে বুঝলাম, ওই দীর্ঘ পাঁচ ছ ঘন্টা আমি অন্ততঃ পাঁচশোবার চেক করেছি কখন তেল শেষ হবে।  তার থেকে বাবা শুধু চোদ্দ নম্বরে ফোকাস করে ঠাকুরের সামনে চোদ্দ প্রদীপ একটা বড় থালায় রেখে কাজ মিটিয়ে আসছি এতদিন।  এবার আর কোনো চাপ নেই।  গিন্নিও খুশি। নতুন শাড়ি পরে কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে সারা বাড়ি প্রদীপ লাগিয়ে দিয়ে এলো। সাথে আমি ক্যামেরা হাতে। খরচও কম , মনের খিঁচখিঁচও কম। বন্ধুদের বিশাল ইন্টিরিয়ার ডেকোরেশন করা বাড়ি বা ফ্ল্যাটে কিন্তু একই সমস্যা। লাল মেঝের লোকেদের সেই সমস্যা নেই। 

 

প্রদীপগুলো বন্ধ হলে, এলার্ম দিয়ে শুলাম , যাতে ভোর ভোর উঠে হাজির হওয়া যায় রুল্লার রেওয়াজি খাসির দোকানে। বছরে এই একদিনই  নিরামিষ পাঁঠার মাংস খাওয়ার দিন। সোনার পাথরবাটিতে পরিবেশিত হবে সেই পিয়াঁজ রসুন ছাড়া ভোগের মাংস। আহা সে কি স্বাদ।  ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছি ফোনই চার্জ না করে। অ্যালার্ম এর বদলে গুঁতোর চোটে ঘুম ভেঙে হাই তুলতে তুলতে রুল্লার দোকানে গিয়ে দেখি বিশাল  লাইন। অন্ততঃ একশো জন।  সবাই বিরক্ত, সবাই মুখে বলছে , “কেন যে লোকে এতো রেডমিট খায়।” অথচ কেউ কিন্তু বেরোবে না লাইন থেকে আর সবাই সবাইকে "হ্যাপি দিওয়ালি" বলবে।  আমি বললাম , “হ্যাপি কালীপূজা” । তির্যক অভিব্যক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলো আমি বাঙালিয়ানায় বি টি এল।  মানে, বিলো ট্রেন্ড লেভেল।  মাংস কিন্তু পেলাম খাসা।  রাইগর মর্টিসের আগেই প্যাকেটে।  আমেরিকার লিন মিট খেয়ে খেয়ে এই থলথলে চর্বির লেয়ার দেওয়া ডান্সিং মিট মনে ডোপামাইনের সুনামি বইয়ে দিলো। 

 

বাড়ি ফিরেই আগে কাজ হলো বাজীগুলো রোদ্দুরে দেওয়া।  যত ভালোই বাজি হোক না কেন রোদ্দুরে না দিলে অমাবস্যার রাত আলোকিত হবে না। অন্নপূর্ণা দাসের, থুড়ি বুড়িমার চকোলেট বোম আমি না কিনলে কি হবে সকাল থেকে আসে পাশে হাজার বোমা দুম দাম ফেটে চলেছে। মাইকে নিরন্তর বেজে চলা শ্যামাসংগীতের গলা টিপে সেই আওয়াজে চমকে চমকে উঠছিলাম সারাটা দিন।   রাতে কি হবে তার ইয়ত্তা নেই।  

 

আমার আমেরিকার কালীপূজা বলতে লাগুনা বীচ কালী মন্দির , ওয়ারেনের মিশিগান কালীবাড়ি আর শেষ সাত বছর ধরে NASKA র কালীপূজা।  এখানে কালীপূজার প্রধান আকর্ষণ হলো পূজা দেখা।  মাতৃকুলে সিদ্ধেশ্বরী মন্দির থাকার দৌলতে ছোটবেলায় ঠাকুরের পাশে বসে পুরোহিতের উদাত্ত কণ্ঠের “কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণী। …” মন্ত্রোচ্চারণ এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ দিতো।  মন্ত্রের গুরুগম্ভীর মন্দ্রধ্বনির সেই রোমাঞ্চ আবার ফিরে পেয়েছিলাম আমেরিকার পুজোগুলিতে ।  সেই অভ্যাসের মননেই যখন বাড়ির সামনের তিনশো বছর পুরানো দক্ষিনাকালীর মন্দিরে হাজির হলাম সন্ধ্যেবেলা , তখন মন্দিরের বাইরের বিশাল ভিড় আমাকে স্বাগত আর “ভাগো তো ” জানালো।  জিরাফের মতো গলা উঁচু করেও ঠাকুরের মুখ দেখতে পেলাম না।  শুধু ধাক্কা আর ধাক্কার মাঝে মন স্থির করে চোখ বন্ধ করে মনে মনে উচ্চারণ করলাম দক্ষিনা কালির ধ্যানমন্ত্র।  

ওঁ করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাং ।কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুণ্ডমালা বিভূষিতাম্ ।।
সদ্যশ্ছিন্ন শিরঃ খড়্গ বামাধোর্দ্ধ করাম্বুজাম্ ।অভয়ং বরদঞ্চৈব দক্ষিণোর্দ্ধাধ পাণিকাং ।।
মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং তথা চৈব দিগম্বরীং ।কণ্ঠাবসক্তমুণ্ডালী গলদ্রুধির চর্চ্চিতাং ।।
কর্ণাবতংসতানীত শরযুগ্ম ভয়ানকাং ।ঘোরদংষ্ট্রাং করালাস্যাং পীনোন্নত পয়োধরাং ।।
শবানাং করসংঘাতৈঃ কৃতকাঞ্চীং হসন্মুখীং ।সৃক্কদ্বয় গলদ্রক্ত ধারা বিস্ফুরিতাননাং ।।
ঘোররাবাং মহারৌদ্রীং শ্মশানালয়বাসিনীং ।বালার্কমন্ডলাকার লোচনত্রিতয়ান্বিতাং ।।
দন্তুরাং দক্ষিণব্যাপি লম্বমান কচোচ্চয়াং ।শবরূপ মহাদেব হৃদয়োপরি সংস্থিতাং ।।
শিবাভির্ঘোর রাবাভিশ্চতুর্দিক্ষু সমন্বিতাং ।মহাকালেন চ সমং বিপরীত রতাতুরাং ।।
সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরানন সরোরুহাং ।এবং সঞ্চিন্তয়েৎ কালীং সর্ব্বকাম সমৃদ্ধিদাং ।।

 

মায়ের মুখদর্শনের বৃথা চেষ্টা করে ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম গঙ্গার ধারে যেখানে তুবড়ি কম্পিটিশন সবে শুরু হয়েছে।  এক কিলোমিটার লম্বা স্ট্র্যান্ড ধরে শয়ে তুবড়ি ফুটছে।  তীব্র বারুদের গন্ধ মাখা ধোঁয়ায় ভরা সেই জায়গায় নানা বাজীকরদের কেরামতির সৃষ্টির বৈচিত্র দেখে ছেলের অবাক চোখ আমার কালীপূজায় দেশগমনের স্বার্থকতা দিলো।  মাস্ক ঢাকা থাকলেও কিছুক্ষনের মধ্যে অনভ্যস্ত শিশু চোখ জ্বলতে আরম্ভ করলো।  দু চারটে বারোয়ারি পূজা মণ্ডপ দেখে ফিরে এলাম বাড়িতে।  পাঁচিলের ওপর এক এক করে বসানো হলো দুশো মোমবাতি।  সেজে উঠলো পৈতৃক ভিটা। সেজে উঠলো শহর। 

 

কান পাতা দায় হয়ে উঠেছিল আসে পাশের বোমাবাজিতে।  চমকে চমকে উঠছিলাম প্রচন্ড বোমের শব্দে। আকাশ জুড়ে শটের খেলা। শ্যামা সংগীত মিশে যাচ্ছিলো ঝিনচ্যাক নিকৃষ্ট আইটেম সং আর বোমার আওয়াজের সাথে। অনভ্যস্ত প্রশান্তি মনভ্রান্ত করছিলো, তবু ছেলের কাছে পরিবেশন করছিলাম আমার শৈশব। এই ভাবেই তো বড় হয়েছি। তোর মতোই তো ছিলাম একদিন। 

 

হাতে ধরে কালিফটকা ফাটানো।  ম্যাগি সসের খালি বোতলে রকেটে আগুন দেওয়া।  দুই হাতে দুটো হাত চরকি নিয়ে আগুনখেলা।  এক সাথে পাঁচটা চরকি জ্বালিয়ে ছড়িয়ে যাওয়া ফুলকির  ওপর নাচা। রংমশালের ঝর্ণা ধারা।  সাপবাজির ছাইএর গুটলি। ছুঁচোবাজির চমক। ফুলঝুরির তরোয়াল খেলা। একশো কালিপটকা একসাথে ফাটানো।  এতো আলোর রোশনাইয়ে ছেলের মুখ থেকে বেরোলো , “ফেস্টিভ্যাল অফ লাইটস। ইটস ডেঞ্জারাস বাট আটার্লি বিউটিফুল ”

 

রাত গভীর হলো।  থেমে গেলো শব্দবাজী।  আকাশ দেখা যাচ্ছে না ধোঁয়াশায়। গান থেমে গেছে।  থেমে গেছে  মানুষের স্রোত।  মন্দিরে তখনও ভীড়।  চলবে সারা রাত।  দু হাত কপালে তুলে মনে মনে দক্ষিনা কালীর স্মৃতিমুখ দর্শন করে বললাম , আবার হবে দেখা অন্য দেশে, অন্য সাজে , আমার কর্মক্ষেত্রে।   


লেখাটি NASKA (  নর্থ আমেরিকান সার্বজনীন কালীপূজা এসোসিয়েশন ) এর কালীপূজার সময় বেরোনো ম্যাগাজিনের জন্যে লেখা ।  

https://naska.org/assets/docs/Souvenir2024.pdf