না খাবো না। তোমরা কি মনে করেছো টা কি ? তোমরা সবাই চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় খাবার খাবে আর আমার জন্য শুধুই দুধ। চলবে না। আমি এসেছি বলে তোমাদের এতো ফুর্তি। শুনেছিলাম অতিথি দেব ভবঃ। এখন তো দেখছি খাবার দেবোনা ভাগো। নাকের কাছে তেজপাতা, এলাচ দারচিনি, গোলমরিচের গন্ধ ভুর ভুর করছে আর আমার জন্য সেই ডেইরি প্রোডাক্ট। কি মনে করেছো টা কি? সাত্বিক বানাবে। কেন বাবা। তোমরা তো বিন্দাস তামসিক ফুর্তি করে আমায় এনেছো আমাকে এখন একটু রাজসিক হতে দাও। মাংস টাংস তো দিব্যি চলছে। কি না ভাঙা শরীর গড়ে তোলার জন্য। তা চোখে কি ন্যাবা হয়েছে। আমায় কি দেখে মনে হচ্ছে হারকিউলিস। হাড়ে জোর পাচ্ছি না বলে উঠে দাঁড়াতে পারছি না। তাও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। দাদুর হাড়ে জোর নেই বলে ছোট ছোট মাছের ঝাল বানাচ্ছো। আর আমি জুল জুল করে তাকিয়ে আছি। দাদুর তো দাঁতও নেই আমার মতো, নকল দাঁত বানিয়ে তার পরে খাওয়াচ্চ। আর আমার বেলায় , "ও মা মাড়ির ভেতরে দাঁত গজাচ্ছে তাই নাল পড়ছে।" ওরে মাথামোটার দল ওটা আমার তোদের খাওয়া দাওয়া দেখে লোভে জিভে জল এসে যাচ্ছে সেটা কবে বুঝবি। "দাঁত গজাচ্ছে" , শুনলেই গা পিত্তি জ্বলে যায়। পিত্তির কথা উঠলো যখন , কি ব্যাপার আগে তো দেখিনি ইলিশ মাছের তেল নিয়ে এতো আলোচনা। এখন দেখছি সারা ঘর জুড়ে ইলিশের গন্ধ আর সাথে গল্প। একবারও লজ্জা করে না।
আমার সাথে দেখা করতে আসছে লোকে। মানছি আমার জন্য খেলনা টেলনা নিয়ে আসছে। কিন্তু ওদের যখন বসিয়ে বসিয়ে তেলেভাজা আর চা খাওয়ানো হচ্ছে তখন কেউ কি আমার দিকে একবারও তাকাচ্ছে। গান্ডে পিন্ডে গিলে আমাকে নিয়ে শুধু দোল দোল দুলুনি। ওরে , দোল দিলে খিদেও পায়. সেদিকেও নজর রাখা উচিত। গরম গরম সিঙ্গারার গন্ধ যে আমায় কি যন্ত্রনা দেয় সে আর কি বলবো। সাথে আছে চা। ওটা তো এটলিস্ট দেওয়া যায়। সারাদিন লোকেদের এন্টারটেইন করে যাচ্ছি, মজুররাও তো এক কাপ চা পায়। আমার বেলাতেই অনিয়ম। কমপ্লেইন করতে হবে ইউনিয়নকে।
আর হ্যা সবকিছুর সল্যুশন দুধ নয়। কাঁদলে মুখে বোতল গুঁজে দিচ্ছ। কান্নার টোন গুলো পাল্টে দিলাম , তবুও তোমাদের একই ওষুধ। দুধ। স্কুল কলেজে টুকে পাশ করলে এরকমই বুদ্ধি হয়। কাঁদছি না, খেলতে ভালো লাগছে। ফুরফুরে মেজাজ। না , হবে না। কোথা থেকে রকেটের মতো দুধের বোতল ছুটে এলো। কোঁৎ কোঁৎ করে এমন গিলিয়ে দিলো যে উগলে না দিয়ে আর পারলাম না। বমি হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তোমরা কে কবে চুটিয়ে খেয়েছো বলোতো। আমার বেলাতেই যত উৎপাত। বমির গন্ধে গায়ে জ্বর আসছে আর সাথে ওই অত্যাচার। আমরণ অনশনে তো আর নামিনি, যে নাকে নল গুঁজে বাঁচাতে হবে। বমি ছাড়ো , ডাইপারে পটি করেছি। সুগন্ধি ডাইপার বলে গন্ধ বেরোচ্ছে না। হাত পা ছুড়ে সবাই কে বুঝিয়ে দিচ্ছি তবুও কেউ বুঝছে না। ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বসিয়ে দুধ গেলাচ্ছে। একবার হেগে তার ওপরে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বসে বিরিয়ানি খেয়ো তো। কেমন হড়াত করে হড়কে যায় দেখো।
সাথে আছে ডাক্তারের অত্যাচার । কথা গুলো শুনে মাথা গরম হয়ে যায়। আমার আর মুরগির মধ্যে কোন ফারাক করে না । ওখানে গেলেই প্রথমে ওজন করে, তারপর ফিতে দিয়ে মাপে। তারপর মুখটা ডাইপারের থেকেও বাজে করে বলে , “ওজন ঠিক ঠাক বারছে না। ” এইটুকু শুনলেই মা খুশি । ব্যাস , দুধের পিপে ঢেলে দেবে আমার ওপর । শিবলিঙ্গ যেন । কিছুক্ষন অন্তর অন্তর এসে বলবে পেট টা নেমে গেছে । তার মানে গোঁজার সময় এসে গেছে । বাবার মত গনেশ না বানিয়ে ছারবে না । তোমরা খাও না বাপু আমি বেশ স্লিম ত্রিম ম্যাচো হতে চাই । কিন্তু কে কার কথা শোনে ।
আর এক হয়েছে আমার এই মা । দুধের সাপ্লাই দিচ্ছে বলে যেন মাথা কিনে নিয়েছে । তোমার দুধ হচ্ছে বলেই আমাকে খেতে হবে তার কি কোন কারন আছে । ফেলে দাও , বেচে দাও আমার দেখার দরকার নেই । প্রথম প্রথম ছাড় দিছছিলাম অনেক স্যাকরিফাইস করেছে বলে। আগে তো আমাকে সাথ দিতে নিজেও দুধ সাবু খেত । ভালো লাগত না , তবুও খেত। আমিও তখন সাথ দিতে অনেক খেতাম। কিন্তু না। হঠাৎ করে দেখি সব বন্ধ । আমি যখন পেটে ছিলাম যে সব খাওয়া বন্ধ ছিল সেসবও চালু হয়ে গেছে । কমলা রঙের কোল্ডদ্রিঙ্কস যে কেউ খেতে চাইবে , এখন মা খায় আর আমায় সেই একই রঙের , একই স্বাদের দুধ ।
কয়েকদিন খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে নিজেই পেছনে বাঁশ নিয়েছিলাম । মানে হাগু বন্ধ হয়ে গেছিল । বিনিময়ে আমার কপালে অন্য স্বাদের কিছু জুটেছিল । একটা ভালো একটা জঘন্য। ভিটামিন ডি টা বেশ খেতে । মিষ্টি মিষ্টি । একটু ঝাঁঝালো টাইপের । দেখতেও সুন্দর । বাবার হুইস্কির মত । কিন্তু গ্রাইপ ওয়াটারটা , ছি ছি । গ্যান্দাল পাতার ঝোলের মত । কই তোমরা তো ওইরকম কালো কুচ্ছিত জিনিস খাও না । আমার বেলাতেই গেলাচ্ছ ।
মায়ের ওপর বিছছিরি রকমের রাগ হয়ে গেছে । নাহ সিরিয়াসলি আর খাব না । অনেক হয়েছে । ভেবেছিলাম এই পৃথিবীতে এসে একটু আনন্দ ফুরতি করব । টক , ঝাল, নোনতা , মিষ্টি স্বাদে ডুবে থাকব । মা আর বাবা এই দুই স্পেসিমেনের আদিখ্যেতা দেখে মনে হয়েছিল পৃথিবীর সব যেন আমার থালায় এনে দেবে । কিন্তু বুঝে গেছি ভোট শেষ । এখন বাবা বাবার গদি পেয়ে গেছে আর মা পেয়ে গেছে মায়ের আসন , আমার মত ল্যাংটো ভিখারির কথা আর কে শুনবে । সবথেকে সস্তার খাওয়া খাইয়ে ফেলে রেখে দিয়েছে । দুধ তাও কিনবে না । কি সাঙ্ঘাতিক উৎপীড়ন । নাহ সোচ্চারে যখন কাজ হল না । এখন নীরবে প্রতিবাদ করে জেতে হবে । আজ থেকে আমি ঠিক করেছি আর দুধ খাবো না। খাবো না মানে, খাবো না । গেলাতে আসলে মুখে কুলকুচি করব । তাও গেলালে গিলে নিয়ে পরে উগলে দেব । কিন্তু জতদিন না স্বাদে পরিবর্তন আসছে ততদিন আর খাবো , কিছুতেই না । দেখ কেমন লাগে ।
আমার সাথে দেখা করতে আসছে লোকে। মানছি আমার জন্য খেলনা টেলনা নিয়ে আসছে। কিন্তু ওদের যখন বসিয়ে বসিয়ে তেলেভাজা আর চা খাওয়ানো হচ্ছে তখন কেউ কি আমার দিকে একবারও তাকাচ্ছে। গান্ডে পিন্ডে গিলে আমাকে নিয়ে শুধু দোল দোল দুলুনি। ওরে , দোল দিলে খিদেও পায়. সেদিকেও নজর রাখা উচিত। গরম গরম সিঙ্গারার গন্ধ যে আমায় কি যন্ত্রনা দেয় সে আর কি বলবো। সাথে আছে চা। ওটা তো এটলিস্ট দেওয়া যায়। সারাদিন লোকেদের এন্টারটেইন করে যাচ্ছি, মজুররাও তো এক কাপ চা পায়। আমার বেলাতেই অনিয়ম। কমপ্লেইন করতে হবে ইউনিয়নকে।
আর হ্যা সবকিছুর সল্যুশন দুধ নয়। কাঁদলে মুখে বোতল গুঁজে দিচ্ছ। কান্নার টোন গুলো পাল্টে দিলাম , তবুও তোমাদের একই ওষুধ। দুধ। স্কুল কলেজে টুকে পাশ করলে এরকমই বুদ্ধি হয়। কাঁদছি না, খেলতে ভালো লাগছে। ফুরফুরে মেজাজ। না , হবে না। কোথা থেকে রকেটের মতো দুধের বোতল ছুটে এলো। কোঁৎ কোঁৎ করে এমন গিলিয়ে দিলো যে উগলে না দিয়ে আর পারলাম না। বমি হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তোমরা কে কবে চুটিয়ে খেয়েছো বলোতো। আমার বেলাতেই যত উৎপাত। বমির গন্ধে গায়ে জ্বর আসছে আর সাথে ওই অত্যাচার। আমরণ অনশনে তো আর নামিনি, যে নাকে নল গুঁজে বাঁচাতে হবে। বমি ছাড়ো , ডাইপারে পটি করেছি। সুগন্ধি ডাইপার বলে গন্ধ বেরোচ্ছে না। হাত পা ছুড়ে সবাই কে বুঝিয়ে দিচ্ছি তবুও কেউ বুঝছে না। ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বসিয়ে দুধ গেলাচ্ছে। একবার হেগে তার ওপরে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বসে বিরিয়ানি খেয়ো তো। কেমন হড়াত করে হড়কে যায় দেখো।
সাথে আছে ডাক্তারের অত্যাচার । কথা গুলো শুনে মাথা গরম হয়ে যায়। আমার আর মুরগির মধ্যে কোন ফারাক করে না । ওখানে গেলেই প্রথমে ওজন করে, তারপর ফিতে দিয়ে মাপে। তারপর মুখটা ডাইপারের থেকেও বাজে করে বলে , “ওজন ঠিক ঠাক বারছে না। ” এইটুকু শুনলেই মা খুশি । ব্যাস , দুধের পিপে ঢেলে দেবে আমার ওপর । শিবলিঙ্গ যেন । কিছুক্ষন অন্তর অন্তর এসে বলবে পেট টা নেমে গেছে । তার মানে গোঁজার সময় এসে গেছে । বাবার মত গনেশ না বানিয়ে ছারবে না । তোমরা খাও না বাপু আমি বেশ স্লিম ত্রিম ম্যাচো হতে চাই । কিন্তু কে কার কথা শোনে ।
আর এক হয়েছে আমার এই মা । দুধের সাপ্লাই দিচ্ছে বলে যেন মাথা কিনে নিয়েছে । তোমার দুধ হচ্ছে বলেই আমাকে খেতে হবে তার কি কোন কারন আছে । ফেলে দাও , বেচে দাও আমার দেখার দরকার নেই । প্রথম প্রথম ছাড় দিছছিলাম অনেক স্যাকরিফাইস করেছে বলে। আগে তো আমাকে সাথ দিতে নিজেও দুধ সাবু খেত । ভালো লাগত না , তবুও খেত। আমিও তখন সাথ দিতে অনেক খেতাম। কিন্তু না। হঠাৎ করে দেখি সব বন্ধ । আমি যখন পেটে ছিলাম যে সব খাওয়া বন্ধ ছিল সেসবও চালু হয়ে গেছে । কমলা রঙের কোল্ডদ্রিঙ্কস যে কেউ খেতে চাইবে , এখন মা খায় আর আমায় সেই একই রঙের , একই স্বাদের দুধ ।
কয়েকদিন খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে নিজেই পেছনে বাঁশ নিয়েছিলাম । মানে হাগু বন্ধ হয়ে গেছিল । বিনিময়ে আমার কপালে অন্য স্বাদের কিছু জুটেছিল । একটা ভালো একটা জঘন্য। ভিটামিন ডি টা বেশ খেতে । মিষ্টি মিষ্টি । একটু ঝাঁঝালো টাইপের । দেখতেও সুন্দর । বাবার হুইস্কির মত । কিন্তু গ্রাইপ ওয়াটারটা , ছি ছি । গ্যান্দাল পাতার ঝোলের মত । কই তোমরা তো ওইরকম কালো কুচ্ছিত জিনিস খাও না । আমার বেলাতেই গেলাচ্ছ ।
মায়ের ওপর বিছছিরি রকমের রাগ হয়ে গেছে । নাহ সিরিয়াসলি আর খাব না । অনেক হয়েছে । ভেবেছিলাম এই পৃথিবীতে এসে একটু আনন্দ ফুরতি করব । টক , ঝাল, নোনতা , মিষ্টি স্বাদে ডুবে থাকব । মা আর বাবা এই দুই স্পেসিমেনের আদিখ্যেতা দেখে মনে হয়েছিল পৃথিবীর সব যেন আমার থালায় এনে দেবে । কিন্তু বুঝে গেছি ভোট শেষ । এখন বাবা বাবার গদি পেয়ে গেছে আর মা পেয়ে গেছে মায়ের আসন , আমার মত ল্যাংটো ভিখারির কথা আর কে শুনবে । সবথেকে সস্তার খাওয়া খাইয়ে ফেলে রেখে দিয়েছে । দুধ তাও কিনবে না । কি সাঙ্ঘাতিক উৎপীড়ন । নাহ সোচ্চারে যখন কাজ হল না । এখন নীরবে প্রতিবাদ করে জেতে হবে । আজ থেকে আমি ঠিক করেছি আর দুধ খাবো না। খাবো না মানে, খাবো না । গেলাতে আসলে মুখে কুলকুচি করব । তাও গেলালে গিলে নিয়ে পরে উগলে দেব । কিন্তু জতদিন না স্বাদে পরিবর্তন আসছে ততদিন আর খাবো , কিছুতেই না । দেখ কেমন লাগে ।
No comments:
Post a Comment